Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
একজন সফল মাছ চাষীর গল্প
ছবি
ডাউনলোড

ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী ধুলঝাড়ি গ্রামের খুরশেন আলীর ছেলে আঃ হাকিম সফলতা পেয়ে মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে পাঙ্গাস মাছের পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাছ চাষ করে ৯০ দিনে আয় করেছেন লক্ষাধিক টাকা। আর তা সম্ভব হয়েছে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসার প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণ সহযোগিতা নিয়ে কার্প জাতীয় মাছের সাথে পাঙ্গাস মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে। আঃ হাকিম লেখাপড়া বেশীদুর করতে পারেননি।

গ্রামের হাই স্কুল থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। অনেকটায় খামখেয়ালি আর পরিবেশগত কারনেই পড়ালেখায় ব্যঘাত ঘটে। পারিবারিক সুত্রধরে কৃষি কাজ হাতে নিতে হয় তাকে। চট্রগ্রামের ম্যারেডিয়ান কোম্পানীর প্রডাক্শন ম্যানেজার মোঃ হাসান আলীর কাছে ২০১৪ সালে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রথমে সামান্য জলাশয়ে মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পান তিনি। এতে মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। কৃষি কাজের পাশাপাশি মাছ চাষ শুরু করেন। উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের নির্জন এক পল্লী গড় পাড়া। নানা হানিফ চেয়ারম্যানের কাছে ৯০ দিনের জন্য ৯ হাজার টাকায় লিজ লেন ৫৪ শতাংশ জমির পুকুর । এ পুকুরে মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। সেখানে সর্বসাকুল্যে খরচ হয় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। মেয়াদ শেষে ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার মাছ বিক্রী করা। তাতে করে প্রায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা লাভ করেছেন।

এ ব্যাপারে আঃ হাকিম জানান, মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ ও আর্থিক সহোযগিতা নিয়ে আমি মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করি। পাঙ্গাস মাছের পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাছ চাষ বেশ লাভ জনক। বাজার মন্দার কারনে লাভের অংশ কম হয়েছে। ২ লক্ষাধিক টাকা আয়ের লক্ষমাত্রা ছিল আমাদের। নতুন করে প্রায় সাড়ে ৪ একর পরিমান আরো তিনটি পুকুর ভাড়া নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছি। বেকার যুবকদের মাছ চাষে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, আঃ হাকিম আমাদের পরামর্শ নিয়ে ৫৪ শতাংশ জমির পুকুরে পাঙ্গাস মাছের পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাছ চাষ করে ৯০ দিনে ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা আয় করেন। মাছ চাষে সফলতা পেয়ে তিনি আরো তিনটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন। আশা করি আঃ হাকিম মাছ চাষ করে অল্প দিনের মধ্যে অর্থনীতিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। উপজেলায় পাঙ্গাস মাছ চাষ লাভজনক বলে তিনি সকলকে মাছ চাষে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

তথ্যসূত্রঃ bd24live.com